স্বামী স্ত্রীর যে কাজ গুলো করা যাবেনা !
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা!
• পুরুষেরা বিয়ের সময় যৌতুক নেওয়া থেকে বিরত থাকুন। নিজের আত্মমর্যাদাকে ধুলোর সাথে মিশিয়ে দিতে এই একটি কাজই যথেষ্ট।
• সবসময় ঠান্ডা মাথায় কথা বলবেন। গলার আওয়াজ বাড়াবেন নাহ। গলার আওয়াজ বাড়িয়ে কথা বললে তা ঝগড়াতে রুপান্তরিত হয়ে যাবে।
• নিজের স্বামী/স্ত্রীর সামনে অন্য পুরুষ/নারীর গুনগান গাওয়ার দরকার নেই। এতে নিজের স্বামী স্ত্রী ছোট হয়।
• সংসারে চলতে ফিরতে ছোটখাটো ভূল হবে। এগুলো বড় করে দেখা যাবে নাহ। সবচেয়ে উত্তম এসব নিয়ে কথা না বলা।
• স্বামী স্ত্রী একসাথে থাকাকালীন সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার করার দরকার নেই। নিজেদের সময় দিন।
• কখনোই আপনার সঙ্গীর পিতামাতাকে খোঁটা বা হেয় প্রতিপন্ন করে কথা বলবেন নাহ। এতে করে সম্পর্কে মারাত্মক ফাটলের সৃষ্টি হয়।
• স্বামী স্ত্রীর দুজনের সংসারে অন্যের মাখানো কথাতে বিশ্বাস করা যাবেনা। এতে করেও সংসারে সমস্যার সৃষ্টি হয়।
• সঙ্গীর সাথে ভূল বোঝাবুঝি হলে নিজে গিয়ে আগে সরি বলার চেষ্টা করুন।
• কিছু হলেই 'ঘর থেকে বের হয়ে যাও' এমন কথা একদমই বলবেন নাহ। এতে করে আপনার সঙ্গীর এই সংসারের প্রতি আস্থা, ভালোবাসা একেবারেই উঠে যেতে পারে। এটা তারও সংসার।
• একটু রাগ হলেই, বাপের বাড়ি চলে যাবো কিংবা ব্যাগ গোছানো এসব করাও বন্ধ করতে হবে
• ভূলেও সঙ্গীর গায়ে হাত তোলা যাবেনা। একদমই করা যাবেনা এটি। যত বড় ভূলই করুক তার গায়ে কখনোই হাত তুলবেন নাহ।
নিজের ইজ্জত বজায় রাখুন৷ পরিশেষে একটি কথা বলতে চাই, স্বামী স্ত্রী হচ্ছে একে অপরের পরিপূরক।
একজন যদি কষ্টে থাকে, সেটির প্রভাব পড়ে অন্যজনের কাছে। স্বামী কষ্টে থাকলে যেমন স্ত্রীও কষ্ট পাবে, স্ত্রী এর ক্ষেত্রেও সেটি এক।
যারা স্বামী স্ত্রী, তারা সবসময় একটি কথা মাথায় রাখবেন। আপনাদের সন্তানরা একসময় বড় হবে।
জীবিকার খোঁজে হয়তো আপনাদের থেকে অনেক সময় দূরে গিয়েও থাকবে। একসময় আপনাদের সন্তানদেরও বিয়ে হবে, তাদেরও আলাদা সংসার হবে।
আপনার গুরুত্ব কিছুটা হলেও থিতু হবে।
কাউকে কষ্ট দিয়ে কেউ সুখি হতে পারেনা, এটি সার্বজনীন সত্য।
তাই সুখী জীবন পেতে চাইলে একে অপরকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা দিতে হবে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments