বিয়ে যে শুধু একজন নারী ও একজন পুরুষের শারিরীক সম্পর্কের বৈধতা দেয় তা নয়, একটি নতুন সম্পর্কের দুয়ার খুলে দেয়। যে সম্পর্ক পৃথিবীর অন্যতম পবিত্র সম্পর্কের মাঝে একটি। সেটি স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক।
স্বামী স্ত্রীর এই বন্ধনের শুরুটি হয় বাসর রাত বা ফুলসজ্জার রাত দিয়ে। সচরাচর দেখা ছেলেেদর এ ব্যাপারটা নিয়ে আগ্রহের সীমা থাকেনা।
তবে কিছু জিনিস সবার জেনে রাখার প্রয়োজনবোধ করছি।
• ধরুন, আপনি বিয়ে করেছেন এবং বাসররাতের প্রথা অনুযায়ী আপনি সহ-বাস করতে চাইলেন। আপনার স্ত্রী রাজি না থাকার পরেও আপনি যদি এ রাতে জোরপূর্বক সহ-বাস করেন তাহলে আপনার স্ত্রীর মনে একটি নেতিবাচক প্রভাব তৈরী হবে। -
তার মানে এই নয় যে এ রাতে সহ-বাস করা যাবে না, তবে একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে এ পবিত্র রাতে একে অপরের স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যাপারটা যেন মাথায় রাখে। যদি স্ত্রীর মাসিক থাকে এ সময়ে তাহলে সহ-বাস করা যাবেনা।
এ রাতটি কিভাবে আরো সুন্দর করে তুলবেন?
• এটি এমন এক রাত, প্রতিটি স্বামী স্ত্রী আজীবন যেটির কথা মনে রাখে। তাই সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ এবং হৃদ্যতাপূর্ণ কথা যা একজনের প্রতি আরেকজনের ভালোবাসাকে বৃদ্ধি করে।
• এ রাতে একে অপরের সম্পর্কে আরো পরিচিত হওয়ার চেষ্টা করুন, কার কি ভালো লাগে, কি খারাপ লাগে জানার চেষ্টা করুন। এতে সম্পর্কের দৃঢ়তা বাড়বে।
• মুসলিম দম্পতি হলে উভয়ে এ রাতে ২ রাকআত বা এর বেশি নফল নামায পড়তে পারেন।
• যদি পারেন তাহলে একে অপরের জন্য গিফট নিয়ে আনতে পারেন। খুবই চমৎকার একটা আইডিয়া যে কারো মন ভালো করার জন্য। সারাদিন বিয়ের প্রোগ্রামের ধকল মিটে যাবে সুন্দর কোন গিফট এ।
• ঘরে মিষ্টি জাতীয় ফলমূল রেখে দিতে পারেন। একে অপরের সাথে কথা বলার পাশাপাশি ফলমূল খেলেন। দুর্দান্ত সময় কাটবে।
• চেষ্টা করুন একে অপরের ভালোলাগা ও খারাপ লাগা সম্বন্ধে জানার। কে কি পছন্দ করেন এবং অপছন্দ করেন তা নিয়ে কথাবার্তা বলতে পারেন। কারো কোন মজার ঘটনা থাকলে সেটিও আলোচনায় আসতে পারে।
• প্রশংসা করুন একে অপরের। মনে রাখবেন একজন স্বামী যখন তার স্ত্রীর প্রশংসা করে তখন স্ত্রীর কাছে তার স্বামীর প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা দুটোই বৃদ্ধি পায়। তাই বিয়ের প্রথম রাত থেকেই এর চর্চা শুরু হোক।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments