আপনার কি যৌন চাহিদা বেশি
স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি যৌ-ন চাহিদা।
মেয়েদের এ সমস্যা থাকলে একে বলে 'নিমফোম্যানিয়া' এবং ছেলেদের এ সমস্যা থাকলে একে বলে 'স্যাটেরিয়াসিস'।
কিভাবে বুঝবেন একজন এ সমস্যায় ভুগছেন -
১. অতিরিক্ত মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুন থেকে নিজেকে বিরত রাখতে না পারা।
২. প্রচুর অশ্লীল ভিডিও দেখা এবং বিকৃত যৌ-নাচার এ আসক্ত থাকা।
৩. যেকোনো উপায়ে যৌ-নতায় লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করা। এটি হতে পারে ভিডিও কল অডিও কল।
৪. বিপরীত লিঙ্গের সামনে নিজের শরীরকে অনাবৃত করার ইচ্ছা।
৫. মাথায় সবসয়ম কু-চিন্তা থাকা
৬. অসুরক্ষিত এবং উদ্দাম যৌ-নজীবনের প্রতি অস্বাভাবিক আকর্ষণ অনুভব করা এছাড়াও অতিরিক্ত যৌ-ন চাহিদা থাকা মানুষ সহজেই একাধিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে পারে।
একাধিক যৌ-ন সম্পর্ক, যৌ-ন বাসনা পূরণ করার জন্য সাময়িক ভাবে কোন সম্পর্কে জড়ানোও হতে পারে এ সমস্যার লক্ষণ।
এ সমস্যা প্রশমন করার উপায় : ডাক্তাররা সাধারণত রোগীর পূর্বের হিস্ট্রি নিয়ে মেন্টাল হেলথ স্ক্রিনিং করতে দেয়,সেখানে ধরা পরে যে রোগীর কোনো ডিসঅর্ডার আছে কিনা এবং পরবর্তীতে সমস্যার সমাধান হিসেবে বিভিন্ন ঔষধ দেন।
এছাড়াও নির্দিষ্ট কিছু খাদ্যাভ্যাস ডাক্তাররা প্রেসক্রাইব করেন এতে করে এ সমস্যাটি অনেকটাই কমে যায়।
কিছু কাজ রয়েছে যা সব ডাক্তাররাই এ সমস্যাটির জন্য করতে বলেন তা হলো, মেডিটেশন।
আপনি মুসলিম হলে নামায পড়ুন এবং অন্য ধর্মাবলম্বী হলে সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্যে প্রতিদিন কিছু সময় দিন।
এতে করে সেল্ফ কন্ট্রোল বেড়ে যায় যার দরুন অতিরিক্ত সেক্স ড্রাইভ নিয়ন্ত্রণ করতে সুবিধা হয়।
এছাড়া আপনি চাইলে প্রতিমাসে ৪-৫ দিন রোজা/উপবাস করতে পারেন। এতে করে সে-ক্স ড্রাইভ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
তবে যে এগুলো করার পাশাপাশি আমাদের চেষ্টা করতে হবে যৌন উদ্দীপক কোন কিছুর সংস্পর্শে না আসা।
যথাসম্ভব এগুলো থেকে দূরে থাকতে পারলে যৌ-ন চাহিদার ভারসাম্যতা থাকবে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments